ALL OF IT PRODUCT

PRODUCT REVIEW

সর্বশেষ প্রযুক্তির কিবোর্ড, মাউস থেকে শুরু করে হার্ডড্রাইভ, র‌্যাম, প্রসেসর,প্রিন্টার, সুইচ রাউটার মোডেম, স্ক্যানার মাদারবোর্ড, ওয়েবক্যাম, পেনড্র্রাইভ, আইপি ক্যামেরা সহ কম্পিউটারের ও অন্যান্য যাবতীয় হার্ডওয়্যার ও এক্সেসরিজের জন্য ভিজিট করুন প্রোডাক্ট পেজ:

১.দুই বছরের ওয়ারেন্টি সহ বিশ্ববিখ্যাত ব্রাণ্ডেড ওয়েবক্যাম মাত্র ১৭০০/=

২.দুই বছরের ওয়ারেন্টি সহ ব্রাণ্ডেড ইউপিএস মাত্র ৩২০০/=

৩.লাইফ ওয়ারেন্টি সহ র‌্যাম মাত্র ১৪০০/=

৪.বাসা বা অফিসের ফ্যাক্টরির যে কোন স্পর্ষকাতর স্থানের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে সার্বক্ষনিক নজরদারির জন্য আইপি ক্যামেরা মাত্র ১০,০০০।

৫. পকেট ওয়াই-ফাই রাউটার যা দিয়ে ৫০ গজ দূরত্বের মধ্যে খোলা মাঠে ময়দানে বা কোন চত্তরে কমপক্ষে ৫ জন বা ততোধিক ব্যাক্তি তারহীন ইন্টারনেট ব্যাবহারের অবিশ্বাস্য সূলভ মুল্যের ওয়াই-ফাই ডিভাইস।

এ ধরনের আরও অনেক চমকপ্রদ কম্পিউটার,নেটওয়ার্কিং ও আনুসাঙ্গিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত খ্যাতনামা ব্রান্ডেড কোম্পানীর যাবতীয় ডিভাইসের জন্য ভিজিট করুন :প্রোডাক্ট পেজ।

PRODUCT PAGE


ALL OF NEWSPAPER

undefined

E COMMERCE

BANGLA PAPER

ENGLISH PAPER

পাবলাখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারন্য,গোকুল মেধ,ঐতিহাসিক বিবিচিনি শাহী মসজিদ ভ্রমন নির্দেশিকা

পাবলাখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারন্য:

. জনমানুষের কোলাহল এড়িয়ে যারা একটু নীরবে আর নিভৃতে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন তাদের জন্যই চমৎকার এক স্থান হতে পাওে পাবলাখালী অভয়ারন্য। পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম জেলা রাঙামাটির প্রায় শেষপ্রান্তে অবস্থিত জীববৈচিত্রময় এই অভয়ারন্যটি তার অবস্থানের কারনেই তুলনামূলক কম পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়। তবে পথের সামান্য কষ্টটুকু মেনে নিয়ে যারা একটিবারের জন্য হলেও পাবলাখালির এই অভয়ারন্যে এসেেছন তাদের কখনোই খালি হাতে ফিরতে হয়নি।

বরং সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝে সবুজের সমারোহ আর ফাকে ফাকে বয়ে চলা হ্রদের সবুজ পানির যুগলবন্দীতে এক অনন্য অভিজ্ঞতাই সঙ্গে করে নিয়ে ফিরেছেন তারা। রাঙামাটি শহর থেকে পাবলাখালির দূরত্ব একশ কিলোমিটারেরও বেশি। এখানে আসার জন্য দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে রাঙামাটি এসে সেখান থেকে মারিস্যাগামী লঞ্চে চড়ে নামতে হবে মাইনীমুখ। তারপর এখান থেকে ইঞ্জিন নৌকায় কওে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে সহজেই পৌছে যাওয়া যাবে পাবলাখালীর বন্যপ্রাণী অভয়ারন্যে। পাবলাখালি মূলত পাহাড়ি বন এবং এই বনের ভেতর প্রায় হাজার খানেক ফুট উচ্চতায় পাহাড়ও রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে বন্যপ্রাণীর বসবাস থাকলেও এ সম্পর্কে লিপিবদ্ধ আকাওে প্রথম যে তথ্য পাওয়া যায় সেটা ১৯৫৪ সালের এক জরিপের। তখনকার হিসেব অনুযায়ী প্রায় ২৫৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাসালং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের প্রায় ৪৫০ বর্গকিলোমিটার নিয়ে ছিল পাবলাখালির বিস্তৃতি। কিন্তু কাপ্তাই বাধ নির্মানের ফলে হ্রদেও উপচানো জলে বনের বহু এলাকা নিমজ্জিত হলে এ বে নর আয়তন পরবর্তী সময়ে কিছুটা সংকুচিত হয়ে পড়ে। বন্যপ্রাণী আর প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষনের জন্য ১৯৬২ সালের জুন মাসে এটিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ ছাড়া স্বাধীনতার পওে ১৯৮৩ সালে এটিকে পুনরায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষন আইনের গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী অভয়ারন্য হিসেবে ঘোষনা দেওয়া হয়। বর্তমানে এ অভয়ান্যটি রাঙামাটি জেলার কাসালং রেঞ্জের দক্ষিন-পূর্বে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। নানা সময়ে প্রকৃতি ও পরিবেশের বিপর্যয়ের কারণে পাবলাখালি অভয়ারন্যের প্রাণী বৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হলেও এখনও এখানে দেখা মেলে বুনো হাতি, বিভিন্ন প্রজাতির বানর, উল্লুক, বুনো কুকুর, বন্য শুকর, সাম্বার হরিণ, বনরুই প্রভৃতি। এ ছাড়াও এই অভয়ারণ্যে রয়েছে বহু প্রজাতির পাখি এবং আদি গর্জন, জারুল, চম্বল, সেগুন, কাঞ্চন, চাপালিশের মতো নানা প্রজাতির গাছ।

গোকুল মেধ::

প্রাচীন বাংলার প্রথম রাজধানী খ্যাত বগুড়ার পৌণ্ডবর্ধন (বর্তমানে মহাস্থানগড়) । এই নগরীতে একসময় যেসব গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ছিল এর মধ্যে একটি হলো ’ বেহুলা লক্ষীন্দরের বাসর ঘর’ বা গোকুলের মেধ। বগড়া শহর থেকে মাত্র ১০ কি.মি উত্তওে এবং ঐতিহাসিক মহাস্থান গড়ের ২ কি.মি দক্ষিণে গোকুল, পলাশবাড়ী এবং রামশহর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে এ স্থাপনার অবস্থান। লোক কাহিনীর নায়ক- নায়িকা বেহুলা লক্ষীন্দরের নামানুসাওে স্থাপনাটির নামকরণ করা হয় বেহুলা লক্ষীন্দরের বাসর ঘর। বেহুলার বাসর ঘর মূলত একটি উচু ইটের স্তুপ। এর উচ্চতা প্রায় ১৩ মিটার (৪৫ফিট)।

১৯৩৪-৩৬ সালের প্রতœতাত্ত্বিক খননের ফলে এখানে বিভিন্ন মাপের ১৭২টি কুঠরী আবিস্কৃত হয়। প্রতœতাত্তিক খনন কালে একটি নর-কঙ্কাল, একটি ইটের নির্মিত গোলাকার গর্ত, একটি শিলাখণ্ড , ষাড়ের প্রতিকৃতি উৎকীর্ন একটি ¯¦র্ণপত্র পাওয়া যায়। তবে এই স্তুপের সমতল শিরোদেশে প্রথম নির্মান যুগে খ্রিষ্ট্রীয় ৬/৭ শতকে একটি বৌদ্ধ উপাসনালয় নির্মিত হয়েছিল। ঐতিহাসিকগনের ধারণা স্থাপনাটি একটি বৌদ্ধ মঠ। াাবার অনেকের মতে পৌণ্ড্রবর্ধনের শাসকেরা বহি:শত্র“র আগমন এবং গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য এই উচু ঢিবি নির্মান করেছিলেন। এইতো গেল ইতিহাসের কথা। বেহুলার বাসর ঘরনিয়ে নানা চমকপ্রদ কাহিনী রচিত সহ চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সেই সাথে গ্রাম বংলার মানুষের মুখে এখনও সেই কিংবদন্তির নায়ক-নায়িকা বেহুলা লক্ষীন্দরের চমকপ্রদ কাহিনী শোনা যায়। এ ছাড়া বেহুলার বাসর ঘর সম্পর্কে প্রাপ্ত কিছু তথ্য থেকে জানা যায়, একসময় ভারত বর্ষেও বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে অসংখ্য বৌদ্ধ মট নির্মিত হয়েছিল বেহুলার বাসর ঘরও সে ধরনের একটি মঠ বা বৌদ্ধ ধর্মেও প্রচার কেন্দ্র হতে পারে। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা হিউয়েন সাং তাদেও ভ্রমন কাহিনীতে গোকুলের মেধকে বৌদ্ধ মঠ হিসেবে উল্লেখ্য করেন বলে জানা যায়। আবার কোনো কোনো ঐতিহাসিক গ্রন্থে গোকুলের মেধকে একটি পর্যবেক্ষন কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ্য করে বলা হয়েছে যে, পৌণ্ডবর্ধন রাজধানীকে (বর্তমানে মহাস্থানগড়) বাইরের শত্র“ও গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য এটি নির্মান করা হয়েছিল।

ঐতিহাসিক বিবিচিনি শাহী মসজিদ::

বরগুনার বেতাগী উপজেলার একটি গ্রাম অজপাড়া গায়ের নাম বিবিচিনি। নয়নাভিরাম মনোরম দৃশ্যে আচ্ছাদিত উচু টিলার উপর সেখানে মাথা উচু করে মোঘল স্থাপত্যের নীরব সাক্ষী হয়ে আজও দাড়িয়ে আছে একগম্বুজবিশিষ্ট ঐতিহাসিক ’শাহী মসজিদ’। কালের বিবর্তনে জরাজীর্ন অবস্থায় পড়ে আছে এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি। হারিয়ে যাচ্ছে উজ্জলতা। এ শাহী মসজিদকে ঘিওে রয়েছে অনেক অলৌকিক ঘটনা। অনেকেই মনে করেন, এই মসজিদটি তৈরি করেছিল পরীরা। তাই কেউ কেউ এই মসজেদকে পরির মসজীদ বলে। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঐতিহাসিক এই নিদর্শনটির প্রতিষ্ঠাতা যিনি,তিনি মহান আধ্যাত্মিক সাধক হযরত শাহ নেয়ামতউল্ল্যাহ। তিনি ১৬৫৯ খ্রীষ্টাব্দে সূদূর পারস্য থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে দিল্লীতে আসেন। ঐ সময় মোঘল সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজা বঙ্গদেশের সুবাদার। তিনি এই মহান সাধকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। প্রকাশ, কয়েকজন শিষ্যকে সাথে নিয়ে এই আধ্যাত্মিক সাধক বিবিচিনি গ্রামে এসে বসবাস করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তার শিষ্য শাহ সুজার অনুরোধে এই গ্রামেই তিনি একগম্বুজবিশিষ্ট শাহী মসজিদটি নির্মান করেন। জানা যায়, নেয়ামত শাহের কন্যা চিনিবিবির নামের সাথে মিল রেখে এই গ্রামের নামকরণ করা হয় বিবিচিনি।

সমতল ভূমি থেকে এই মসজিদটির অবস্থান প্রায় ৪০ ফুট সুউচ্চ টিলার উপর। এর দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট এবং প্রস্থ ৪০ ফুট। চারপাশের দেয়াল ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি চওড়া । উত্তর ও দক্ষিন পাশে তিনটি দরজা। খিলানের সাহায্যে নির্মিত। মসজিদেও ইটের রং ধুসর বর্ণের। এই ইটের দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১০ ইঞ্চি এবং চওড়া ২ ইঞ্চি। বর্তমান যুগের ইটের চেয়ে এর আকৃতি সম্পূর্ন আলাদা। তৎকালীন সময় এই সাধক পুরুষ শাহ নেয়ামতউল্ল্র্যাহর অনেক অলৌকিক কীর্তি দেখে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মানুষ তার কাছে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা লাভ করেন। জানা যায়, তখনকার সময় বিষখালী নদীর পানি ছিলো প্রচুর লবনাক্ত। তিনি মানুসের এই লবণাক্ত পানি পারেন কষ্টের কথা ভেবে তার আধ্যাতিম্ক সাধনার আশ্চর্য তসবিহটি বিষখালির পানিতে ধুয়ে দিলে লবণাক্ত পানি পরিণত হয় মিঠাপানিতে এবং পানি পানের উপযোগী হয়। আজ পর্যন্ত সেই পানি একই অবস্থায় আছে। ওই সময় বিষখালী নদীতে ছিলো কুমীরের অবাধ বিচরণ। তার অলৌকিক ক্ষমতার প্রভাবে বিবিচিনি সংলগ্ন বিষখালী নদী এল াকায় কোন কুমীর আসত না। বর্তমানের এই সমজিদকে ঘিওে রয়েছে অনেক আশ্চর্য্য ঘটনা। একানে মানত পুরণ করলেই মনোবাসনা পূর্ণ হয়। অগনিত মানুষ এসে এখানে নামাজ আদায় করেন। দীর্ঘ অনেক বছর এই ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ সংস্কারবিহীন অবস্থায় থাকার পর প্রতœতত্ত্ব বিভাগ থেকে রক্ষনাবেক্ষনের জন্য একজন কেয়ার টেকার নিয়োগ করা হয়। বর্তমানে তিনিই এই মসজিদেও দেখা-শুনা করছেন। তবে দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্য এখানে নেই কোন বিশ্রামাগার, নেই অজুখানা এবং স্বাস্থ্যসম্মত ভাল পায়খানা। মসজিদে আসার পায়ে চলা যে রাস্তা সেটি অনেকদিন পূর্বে হ্যারিংবোন করা হয়েছিলো, কিন্তু বর্তমানে রাস্তার অনেক জায়গায় ইট নেই, মাঝে মাঝে ইট ফাকা হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দর্শনার্থী যারা এখানে আসেন পদে পদে তাদেও ভোগান্তির আর সীমা থাকে না। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মসজিদেও জমি কতিপয় অসাধু লোক প্রাস করছে। মসজিদ প্রাঙ্গনে রয়েছে তিনটি কবর। এই কবরগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪-১৫ হাত। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়-১৭০০ খ্রীষ্টাব্দে আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে শাহ নেয়ামতউল্ল্যাহ ইহলোক ত্যাগ করেন এবং ঐতিহাসিক বিবিচিনির শাহী মসজিদেও উত্তর ও পশ্চিমপার্শ্বে তাকে সমাধিস্থ করা হয়। এই কবরেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন কীর্তিমান পুরুষ আধ্যাত্মিক সাধক হযরত শাহ নেয়ামতউল্ল্রাহ এবং তার পাশের দুটি কবওে শুয়ে আছেন চিনিবিবি ও ইছাবিবি। এ ব্যাপারে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলু ইত্তেফাককে জানান, ঐতিহাসিক মসজিদটির ঐতিহ্য ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই টয়লেট, বিশ্রামাগারসহ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ করিয়েছেন।

                                           

PAGE 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40